ঢাকা, ১ জুন শনিবারঃ গত ৬ মে ঢাকা দক্ষিন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাঁচামাংসের মূল্য পুনঃনির্ধারিত করে দেয়ার মাত্র পঁচিশ দিনের মাথায় এবার প্রকাশ্যেই সেটা না মানার ঘোষণা এসেছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম বলেন,’ তাদের পক্ষে আর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি সম্ভব না। তাঁর অভিযোগ, মূলত ডিএনসিসির অসহযোগিতার কারণেই নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি হচ্ছেনা। গাবতলী গরুর হাটে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার বেশী আদায় করছে চাঁদাবাজরা। রাজধানী বৃহৎ গবাদি পশুর এই হাটের ইজারাদারকে আজ পর্যন্ত জবাবদিহির আওতায় আনেনি ডিএনসিসির। ফলে ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি সরকারী সংস্থাগুলোর দিকে অভিযোগ তুলে জানান,’ অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে। কিন্তু চাঁদাবাজি ও খাজনার অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে হাট ইজারাদার কোটি কোটি টাকার আদায় করলেও সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে র্যাব,ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিছুই করছেনা। ইজারার শর্ত মানানোর দায়িত্ব ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার হলেও ওই কর্মকর্তা রহস্যজনক কারণে নীরব।’ এরপর তিনি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, ‘মাংস ব্যবসায়ীরা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যে আর মাংস বিক্রি করবে না। আজ শনিবার থেকে নিজেদের ঠিক করা মূল্যে মাংস বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য যে, এ বছর রোজা শুরুর ঠিক আগের দিন গত ৬ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৫২৫, মহিষ ৪৮০, খাসি ৭৫০ এবং ভেড়া বা ছাগী ৬৫০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে। এরপর দিন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনও একই মূল্য বহাল করে। যদিও, পুরো রোজার মাস জুড়েই খুবই অল্প সংখ্যক মাংস ব্যবসায়ীই নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ ও প্রমাণও মিলেছে। সবশেষে গতকাল নিজেদের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির ঘোষণার ফলে, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনকে মূলত ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বলেই সাব্যাস্ত করেছে। দিনশেষে একমাত্র ভুক্তভোগী সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষ।