অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েমুজ্জামান করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে যশোরে হাসপাতালগুলোতে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে জেলায় ৩১১৬ জন করোনা অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন৷ সদর পৌর এলাকায় এদের সংখ্যা ৯৩২। এ সময় করোনা রোগী বৃদ্ধির হার বিবেচনায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি জনতা হাসপাতাল ছাড়াও আরও একশ শয্যা করোনার জন্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
মো. সায়েমুজ্জামান জানান, প্রতিমন্ত্রী জেলা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামীকালের মধ্যে যশোরের সকল ক্লিনিকের একশ শয্যার তালিকা প্রশাসনের কাছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে কমপক্ষে একটি ফ্লোর করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ উপজেলার হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যা থেকে বাড়িয়ে দশ শয্যায় উন্নীত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। এসময় মারা গেছে ৯ জন। এদের মধ্যে ৪ জন করোনা রোগী এবং অপর ৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৫৪ জন।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় চাপের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারও উপস্থিত ছিলেন।