সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন কার্যকরের আগে প্রয়োজনীয় গন্তব্যে যেতে ছুটছে মানুষ। ঢাকা ছাড়তে এবং প্রবেশ করতে হিড়িক পড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কে-ফেরিতে দেখা যাচ্ছে রীতিমতো মানুষের স্র্রোত।
সরকারের বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করেই যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে একাধিক ধাপ ও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে শহর ছাড়ছেন। এতে সড়ক ও মহাসড়কে বেড়েছে মানুষের চাপ। গ্রামমুখী মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না কোথাও।
গাদাগাদি আর ভোগান্তির স্বীকার কেউ কেউ। তবুও থেমে নেই যাত্রা। এর আগে রমজান ও ঈদুল ফিতরে সরকারের বিধি-নিষেধ জারি থাকা সত্ত্বেও ঢাকা ছেড়েছিল ঘরমুখী মানুষ। তখন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকেই বাড়িতে যেতে পারেননি। ফলে আসছে ঈদুল আজহার আগে লকডাউনের ঘোষণা আসায় ত্বরিত গতিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়েই যাতায়াত করছেন তারা। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা।
বাড়ি ফেরা অনেকেই জানান, বিগত সময়ে ৭ দিনের লকডাউন বেড়ে ২ থেকে ৩ মাস ধরে চলছে। এতে অনেকেই কর্মহীন হয়েছেন। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে না পেরে, রাজধানীতে সীমাহীন কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। অনেকেই পরিবার- পরিজন নিয়ে নানা অসুবিধায় পড়েছেন। ঈদুল ফিতরেও বাড়ি ফিরতে পারেননি কেউ কেউ। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। কঠোর লকডাউন কিংবা শাটডাউন বাস্তবায়ন হলে ঈদের আগে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এতে অনেকটা বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা। কেউবা পরিবার-পরিজনকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। বাসকাউন্টারের সামনে টিকিট দিয়ে মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। ভাড়তি ভাড়ায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। যাদের অধিকাংশই শ্রমজীবী মানুষ। আছেন শিক্ষারর্থীরাও।