দেশের বৃহত্তম মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে আবারও বেড়েছে চালের দাম। প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। লকডাউন উঠে না গেলে চালের দাম কমবে না বলে জানিয়েছে মিল মালিক সমিতি।
খাজানগরের অটো, সেমি অটো ও হাস্কিং চালকল থেকে উৎপাদিত চাল প্রতিদিন ট্রাকে করে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালে বেড়েছে ১ শ’ থেকে দেড় শ’ টাকা। গত সপ্তাহে মিনিকেটের দাম ছিল কেজি ৫৬ টাকা। বর্তমানে তা ঠেকেছে ৫৮ টাকায়। আর ৫৮ টাকার বাসমতি এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬১ টাকা ।
মিলারদের দাবি, ধানের দাম বাড়তি এবং লকডাউনে পরিবহন খরচ বেশি হবার কারণে চালের দাম বেড়েছে।মিল মালিকরা বলছেন, আগে যেখানে পরিবহন খরচ ছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা তা এখন বেড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা ঠেকেছে। আর তার প্রভাব পড়েছে চালের দামের উপর।তারা বলেন, লকডাউন ও করোনার সংক্রমণের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান আসছে না কুষ্টিয়ার খাজানগরের মিলগুলোতে। এতে করে ধানের দামও বেড়ে গেছে।
যার ফলে বাড়ছে চালের দামও।দিনের পর দিন চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।সাধারণ মানুষ বলছেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পড়েছেন সমস্যা। তাদের যে আয়, তার উপর চালের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় জীবন যাপনের উপর তার প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তারা।তবে লকডাউনের পরই চালের দাম কমবে বলে মনে করেন মিল মালিকরা।
কুষ্টিয়ার বাংলাদেশ রাইচমিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, মিলের অনেক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিল। এতে করে মিলগুলোর উৎপাদনও কমে যায়। তবে লকডাউন উঠে গেছে আশা করি সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।জেলার ৫৫টি অটো এবং ৩৭টি সেমি-অটো রাইস মিল থেকে প্রতিদিন দেড় শ’ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করেন মিল মালিকরা ।