স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দেখা দিতে পারে অক্সিজেন সংকট। তাই সংকট এড়াতে করোনার বিস্তার কমিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছে অধিদফতর। তাই আগে থেকেই অক্সিজেন নিয়ে ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
প্রতিবেশী ভারতে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার সময় দেশটিতে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে অনেক রোগী। দেশে এমন পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সরকার আগে থেকেই সর্তক অবস্থায় রয়েছে, জানান রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, সারাদেশে অক্সিজেনের চাহিদা ১২০ থেকে ১৫০ টনের মতো। তবে সংক্রমণ বাড়লে অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়বে। আমরা দেখেছি, এপ্রিল মাসে যখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছিল তখন দৈনিক চাহিদা ছিল প্রায় ১৯০ টন। আমাদের দেশে যেসব অক্সিজেনের প্ল্যান্ট আছে, সেগুলো যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত। অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লিনডে ও ইসলাম অক্সিজেন মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এদের থেকে নিয়েই আমাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তবে সংক্রমণের চাহিদা বাড়ার কারণে অন্যান্য কোম্পানি যারা শিল্প-কারখানার জন্য অক্সিজেন তৈরি করে তাদের সাথেও আমরা যোগাযোগ করছি।
আবুল খায়ের গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ইস্পাত কোম্পানি শিল্প-কারখানার জন্য অক্সিজেন উৎপাদন করে থাকে। তাদের সঙ্গেও স্বাস্থ্য অধিদফতর যোগাযোগ করছে। আমাদের মহাপরিচালকের নিজস্ব উদ্যোগের কারণে আবুল খায়ের গ্রুপ এগিয়ে আসছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লে তাদের অক্সিজেন দিয়েই দেশের অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে, জানান তিনি।