গণপরিবহন না থাকায় দু-এক মিনিট দেরির জন্য কাটা হয় হাজিরা-বোনাস। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, দূরের শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে।
গণপরিবহন না থাকায় দুই-এক মিনিট দেরির জন্য কাটা হয় হাজিরা-বোনাস সূর্য উঁকি দিতেই সেলাই দিদিদের রাস্তায় চলে নিরন্তর ছুটে চলা। উদ্দেশ্য সঠিক সময়ে পৌঁছাতে হবে কর্মস্থলে।প্রজ্ঞাপনে শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকার উল্লেখ করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না।
শ্রমিকদের যাতায়াতে নেই নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা। এতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে পথের ভোগান্তি, অতিরিক্ত ভাড়া গুনে কর্মস্থলে যোগ দিতে হচ্ছে তাদের। এরপরও নির্দিষ্ট সময়ের এক-দুই মিনিট দেরি হলেই কাটা হচ্ছে প্রাপ্য মজুরি।
ঈদের আগে পোশাক কারখানা খোলা রাখা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কর্তৃপক্ষের পরিবহন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শ্রমিকরা।মালিকপক্ষ আমাদের কষ্ট নিয়ে কোনো গুরুত্ব দেয় না। কীভাবে কি হচ্ছে সেটা হয়তো তিনি জানেনও না। রাত ১০টায় ছুটি হলে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হচ্ছে আমাদের। একটু দেরি হলে আমাদের বেতন কেটে নেয় তারা। দুই চার মিনিট দেরি হলে আরও দেরি লিখে রাখে। আমাদের একদিনের হাজিরা কেটে দেয়। আমরা সব দিক দিয়ে মরছি। বলেন, ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিকরা।
এদিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে দূরের কর্মজীবীদের যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।গাজীপুর ইপিলিয়ন গ্রুপের ডিজিএম মো.শহিদুল ইসলাম ও গাজীপুর সাদমা গ্রুপের পরিচালক সোহেল রানাও একই সুরে কথা বলেন।শিল্প পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, গাজীপুরে প্রায় ২ হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। এগুলোতে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।