নাটোরে যেভাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার জট লেগেছে তাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা অত্যান্ত জরুরি মনে করছেন ভুক্তভোগী ও নাটোরের সচেতন নাগরিকরা।
অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে নাটোরকে। প্রতিদিন গড়ে দেড়’শ থেকে দু’শ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। করোনার নুমনা পরীক্ষার জেন এক্সপার্ট (GENE XPERT) মেশিন আছে মাত্র একটি। যাতে করোনার নুমনা পরীক্ষার সক্ষমতা মাত্র ১০ থেকে ১৫ টি। ফলে নমুনা পরীক্ষার জট লেগেই আছে।
রেপিট এ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সামান্য কিছুর ফলাফল দেয়া হচ্ছে যার ফলাফল শতভাগ নিশ্চিত নয়। উপসর্গ নিয়ে এসে নমুনা দিতে না পেরে ফিরেও যাচ্ছেন। প্রতিদিনের এই সংখ্যায় সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতেই সময় লাগছে প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন। সময়ের মধ্যেই পজেটিভ রোগী চিহ্নিত না হওয়ায় এবং অবহেলাজনিত কারণে সংক্রমনের যা হওয়ার হয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন পর পর সংগৃহীত নমুনা প্রথমে নাটোর থেকে রাজশাহী এবং অনেক ক্ষেত্রেই আবার ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই নাটোর, রাজশাহী, ঢাকায় খোঁজ করে কোথাও ফলাফলের হদিস পাচ্ছেন না।
রোগীদের নিকট হতে পরীক্ষা বাবদ ফি নেয়া হলেও যথাসময়ে ফলাফল না পেয়ে তারা একদিকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে পাশাপাশি তারা যথাযথ সেবা না পেয়ে ভোক্তা অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।নাটোরবাসীর সময়ের দাবি দ্রুত নাটোরে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে দক্ষ জনবল দিয়ে চালু করা হোক।
নাটোরের সিভিল সার্জনকে এ ব্যপারে জানানো হলে, তিনি আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কথাই বলেন।
দ্রুত নাটোরে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে পজিটিভ রোগী চিহ্নিত করে পৃথক করা না গেলে শুধুমাত্র নমুনা সংগ্রহ করে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি সেবা গ্রহীতারাও যথাযথ সেবা ও প্রাপ্য অধিকার বঞ্চিত থাকবেন।
লেখক: মোঃ রইস উদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক, ক্যাব, নাটোর।
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন।
আরো সংবাদ দেখুন: পণ্য ডেলিভারি, বাজারে নামলো ভোক্তা অধিকার, ইভ্যালি