ঢাকা, ৭ জুলাই রোববারঃ গত বুধবার হাইকোর্টে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুসারে, ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির আটটি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। নমুনা পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়ার সাথে সাথে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে!
সরকারী প্রতিবেদনটি আজ, হাইকোর্ট বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হয়। প্রতিবেদন অনুসারে রাজধানীর চার জোনে দূষিত পানি সরবরাহের বিষয়ে ওয়াসার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। এর মাঝে ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এরপর ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট ও আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে ২০১৯ সালের ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব পরীক্ষায় আটটি নমুনাতে দূষণ পাওয়া যায়।