গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা ঈদুল আজহায় ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন এবং পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামও একই মত প্রকাশ করেছেন।
ঈদের সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলে মানুষ গাদা-গাদি করে যাতায়াত করবে। এতে সংক্রমণের হার অধিক হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও রেল যোগাযোগ সচল থাকলে সংক্রমণের সংখ্যা কম হতে পারে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টস শিল্প কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে নির্ধারণ করলে যাতায়াতে সুবিধা হবে। কারণ, ২৩৬টি গার্মেন্টস শিল্প কারখানা রয়েছে, জানান কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, করোনার কারণে গত ঈদ-উল-ফিতরের সময় তিন দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। যাতে ঢাকা থেকে মানুষ গ্রামমুখী না হয়। সেজন্য সড়ক ও মহাসড়কে বাধা দেওয়া হলেও ঈদের ছুটিতে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ঈদের ছুটিতে মানুষের মধ্যে নিজ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। তাই মানুষের নিরাপদে যাতায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
গত ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুই-তিন গুণ অধিক ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে তাদের। এর ফলে এসব শ্রমজীবি মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই এবারের ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে লক্ষ্যে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু রাখা প্রয়োজন, বলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম ওসমান।