দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জেলায় (ঢাকা, চট্টগ্রামে, কুমিল্লা, বগুড়া, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, গাজীপুর) আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছে এই ১০ জেলায়। দেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন। এর মধ্যে এই ১০ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩ জন। বাকি ৫৪ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ জন।
সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১০ জেলার মধ্যে ঢাকায় ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৯ জন, চট্টগ্রামে ৫৯ হাজার ২৪০ জন, কুমিল্লায় ১৮ হাজার ৫২৬ জন, বগুড়ায় ১৭ হাজার ৪৮৭ জন, সিলেটে ১৬ হাজার ৬৫৭ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৬ হাজার ৫১৯ জন, রাজশাহীতে ১৬ হাজার ৩৩২ জন, খুলনায় ১৬ হাজার ৩৩৭ জন, ফরিদপুরে ১৫ হাজার ৮৩ জন এবং গাজীপুরে ১৪ হাজার ৮৫৩ জন।
এই জেলাগুলোর বাইরে যেসব জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি সেগুলো হলো- কক্সবাজারে ১৩ হাজার ৩২৩ জন, ময়মনসিংহে ৯ হাজার ৪৫৫, টাঙ্গাইলে ৯ হাজার ৮৮৬ জন, নোয়াখালীতে ১২ হাজার ২৮৮ জন, কুষ্টিয়ায় ৯ হাজার ৮৩৬ জন এবং বরিশালে ৯ হাজার ৭৮ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসমাগম, কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে থাকা জেলাগুলোতে সংক্রমণ এবং আক্রান্তের হার বেশি। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গণসমাগম বন্ধ রাখা সম্ভব না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কমানো সম্ভব হবে না।
এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সি রয়েছে ৫২ জন। ১১ থেকে ২০ বছরের ১০৩ জন; ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩১৭ জন; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮৯০ জন; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮৬২ জন; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৮৭১ জন; এবং ৬০ বছরের ওপরে ৮৯০৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৯ জনের, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৯৪১ জন, রাজশাহীতে এক হাজার ২০৮ জন, খুলনায় এক হাজার ৭৩৭ জন, বরিশালে ৪৬৯ জন, সিলেটে ৫৬৯ জন, রংপুরে ৭১৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৩৭২ জন।