সাধারণ খামারিরা উপেক্ষিত হচ্ছে ডিজিটাল হাটে

করোনা মহামারিকালে ডিজিটাল হাটের কথা শুনে এ হাটেই গরু বিক্রির পরিকল্পনা করেন অনেকে। তবে এই ডিজিটাল হাট নিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এ হাটে যে কেউ গরু বিক্রি করতে পারবেন না। ডিজিটাল হাটে গরু বিক্রি করতে হলে মানতে হবে কিছু শর্ত। সাধারণ খামারিরা উপেক্ষিত হচ্ছে

ডিজিটাল হাটে গরু বিক্রি করতে হলে বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ ই-কমার্স
অব অ্যাসোসিয়েশন অথবা বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে। হাজার হাজার তৃণমূল
খামারিদের মধ্যে ডিজিটাল হাট আশা জাগালেও পরক্ষণেই হতাশায় ডুবিয়েছে এমন নির্দেশনা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
ডিজিটাল কোরবানির হাট নিয়ে এমন নির্দেশনায় তৃণমূল খামারিরা উপেক্ষিত-ই থেকে যাচ্ছেন।

ডিজিটাল হাটে পশু বিক্রির জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই অবশ্যই ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অথবা
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে, এমনটাই বলা আছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকায়।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শুধুমাত্র নির্বাচিতরাই ডিজিটাল হাট এ বিক্রয়ের জন্য নিবন্ধিত হবেন। বিক্রেতা নির্বাচনের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। অবশ্যই বিক্রেতার ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এবং বিক্রোকে ভেন্ডর রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য পেশ করতে হবে।

কোন শ্রেণির খামারিরা এ হাটে অংশ নিতে পারবেন তার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা সদস্য নন তারা কীভাবে এখানে যুক্ত হতে পারেন অথবা অনলাইনে পশু বিক্রি করতে পারেন তার একটা সুস্পষ্ট তথ্য থাকা দরকার ছিল। যেহেতু এখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত রয়েছে।

হবে। আমরা তাদের যে কোনো সময় সদস্য করতে পারি। সুতারাং সাধারণ খামারিদের হতাশ না হয়ে আপনার
উপজেলার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব কাজ সম্পাদন করেন, জানান বাংলাদেশ ডেইরি
ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহ এমরান।

আরো সংবাদ পড়ুনঃ ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, অতঃপর আলি এক্সপ্রেসও নাম লেখালো!

ভোক্তাকণ্ঠ

সাধারণ খামারিরা উপেক্ষিত হচ্ছে