অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই

রাজধানীর ওয়ারীর অলেম্পিয়া বেকারির কারখানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে দেখে, কারখানার চারদিকে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সেখানেই তৈরি হচ্ছে সেমাই। সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে খোলা অবস্থায়। সেমাই তৈরির ময়দায় পাওয়া গেছে তেলাপোকার মল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠানটিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার অভিযান করে আরো কয়েকটি সেমাই কারখানাকে জরিমানা করা হয়।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা সেমাই উৎপাদন করছে। সেমাই তৈরির ময়দায় মধ্যে তেলাপোকার মল পাওয়া যায়।
নামিদামি এ প্রতিষ্ঠান হলেও পণ্য উৎপাদনে বেশ অবহেলা করছে। এ অপরাধে তাদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে, জানান ভোক্তা অধিদফতরের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

আরো সংবাদ পড়ুনঃ ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, অতঃপর আলি এক্সপ্রেসও নাম লেখালো!

ভোক্তাকণ্ঠ

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৬ (১) অনুযায়ী, যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।  (২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে অভিযোগটি অনুসন্ধান বা তদন্ত করিবেন।  (৩) তদন্ত অভিযোগটি সঠিক প্রমাণিত হইলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোষী ব্যক্তিকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন। ৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অর্থ আদায় হইয়া থাকিলে উক্ত আদায়কৃত অর্থের
২৫ শতাংশ তাৎক্ষণিকভাবে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযোগকারীকে প্রদান
করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইয়া থাকিলে,
তিনি এই উপ-ধারায় উল্লিখিত আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ প্রাপ্য হইবেন না।

(৫) এই ধারার অধীন আদালতে বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়মিত ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হইলে
এবং নিয়মিত মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া জরিমানা করা হইলে এবং উক্ত জরিমানার
অর্থ আদায় করা হইলে, উহার ২৫ শতাংশ অর্থ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযোগকারীকে প্রদান করিতে হইবে
তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইয়া থাকিলে,
তিনি এই উপ-ধারায় উল্লিখিত আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ প্রাপ্য হইবেন না।
(৬) যে কোন ব্যক্তি এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন পণ্যের নকল বা ভেজালের বিষয়টি ব্যক্তিগত উদ্যোগে
কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা বা গবেষণাগারে পরীক্ষা করাইয়া ফলাফলসহ অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি