ঢাকা, ১৭ জুলাই বুধবারঃ হাইকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কর্তৃক জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে,মশা নিধনে অকার্যকর ওষুধ আমদানি ও সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুন্নাহার নূপূর। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন, রিট দায়েরকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানিকালে সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী নুরুন্নাহার নূপূরকে আদালত বলেন, ‘ডেঙ্গু মহামারি হতে আর বাকি নাই। মশার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম, নেননি। আমরা কথা বললে তো বলেন বড় বড় কথা বলছি। ডেঙ্গুতে এখন পরজন্য ২০ থেকে ২১ জন মানুষ মারা গেছেন, তারপরেও সিটি করপোরেশন বলছে কিছু না। মেয়র বলেন কিছুই হয়নি। মানুষ মারা যাচ্ছে, কয়েক হাজার মানুষ অসুস্থ, আচরণ চেঞ্জ করেন। জরুরি ব্যবস্থা করেন। মশা মারার ওষুধে যদি কাজ না হয়, তার মানে অকার্যকর ওষুধ কেনা হয়েছে। ওখানে দুর্নীতি হয়েছে! দুর্নীতি হয়ে থাকলে কারা কারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।’
এছাড়াও, মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ আনা এবং তা ছিটানোর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে সরকারের সহায়তা নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আদালতের আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা অকার্যকর। মিডিয়ায় রিপোর্ট এসেছে এই যে ওষুধ গুলো দেয়া হচ্ছে, সে গুলোর মধ্যে কার্যকারিতা নেই। তারপরও সে ওষুধগুলো তারা দিচ্ছে। এখানে ২০/২২ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে। এগুলো চলেই যাচ্ছে। এগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। যারা এ কাজগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরশেন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে ২০ আগস্টের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।