সারা দেশে গণটিকার কার্যক্রম আগামী শনিবার (৭ আগস্ট) শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শনিবারই (৭ আগস্ট) পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হবে। এর এক সপ্তাহ পর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পুরোদমে চলবে গণটিকার কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পূর্বঘোষণা অনুয়াযী, ৭ আগস্ট থেকে দেশে সপ্তাহব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিন প্রায় ৩২ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল সরকার। ইতোমধ্যে টিকা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোন পর্যায়ে কয়টি করে টিকাকেন্দ্র হবে, কোথায় টিকা কেন্দ্রগুলো করা হবে, তা-ও ঠিক হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টায় অনলাইনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে সপ্তাহে দু’দিন নিয়মিত টিকাদান ঠিক রাখা হবে। এর বাইরে তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া হবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক জানান, একেক দিন প্রায় ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কর্মসূচির প্রথম দিন এ পরিমাণ টিকাই দেওয়া হবে। সারা দেশে ৮১ হাজার ১৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত।
গত কয়েক দিন ধরে দিনে তিন লাখের মতো করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে কেন্দ্র থাকবে প্রায় ১৪ হাজার।
এর আগে ১ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৭ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে সরকার ১ কোটি টিকা দিতে চায়। সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। আরও এক কোটির মতো টিকা এ মাসের মধ্যেই আসবে।
দেশে প্রথম করোনার টিকা আসে গত ২১ জানুয়ারি। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হয়। এরপর টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের টিকা কার্যক্রম গতি হারিয়েছিল। তবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে টিকা আসায় এ কার্যক্রম আবার গতি পেয়েছে।
এখন পর্যন্ত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপান মিলিয়ে মোট টিকা এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০টি।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৯ হাজার ৯৫৩ জনকে। আর দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জনকে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এতে প্রয়োজন হবে প্রায় ২৬ কোটি টিকা।