কুমিল্লা, ১৪ অক্টোবর সোমবারঃ আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে বাজার তদারকি এবং ভোক্তা অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে।
কুমিল্লা নিবাসী ভোক্তা মিজানুর রহমান, গত ৯/১০/২০১৯ তারিখে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, রানীর বাজার এলাকার মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মসলা ভাঙাবার মিলে ১ কেজি জিরা ভাঙাবার পর মাত্র ৪৪০ গ্রাম সরবরাহ করেন। তিনি প্রতিবাদ করাতে মিল কর্তৃপক্ষ পুনরায় আরও ১০০ গ্রাম দেন। অর্থাৎ ১ কেজি জিরার পরিবর্তে তাকে দেওয়া হয় ৫৪০ গ্রাম। ফলে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে না পাওয়ায় তিনি কুমিল্লা জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আজকের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়। মদিনা এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেন যে, মেশিনের সমস্যার কারণে এমনটি হয়েছে, সাধারণত প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ কমে। দোষ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারা ৪৫ অনুসারে (প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায়) প্রতিষ্ঠানটিকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী মিজানুর রহমানলে একই আইনের ৭৬(৪) ধারা অনুসারে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২,৫০০ টাকা পান।
এছাড়া আজ রানীর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির অভিযোগে মেসার্স শাওন ড্রাগ হাউজকে ২০,০০০ টাকা জরিমানা আড়োপ ও আদায় করা হয়। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন এবং জেলা পুলিশের দল বাজার তদারকিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন।