নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এলপিজির ন্যায্য দাম নির্ধারণ না করা হলে ব্যবসা বন্ধের আশংকা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, ‘এ খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ১৩ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। যুক্তিসঙ্গত মূল্য না হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।’
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারণে আয়োজিত গণশুনানিতে এলপিজি ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুনানি চলছিল।
এর আগে দু’বার তারিখ ঘোষণা করা হলেও একবার লকডাউন ও আরেকবার হাইকোর্টের আদেশের কারণে স্থগিত হয় শুনানি। আজ চলছে শুনানি।
শুনানিতে অংশ নিয়ে উদ্যোক্তারা আরও বলেন, বিইআরসি মাঝারি ধরনের অপারেটরের (৮ হাজার মেট্রিক টন) আমদানি এবং বাজারজাতকরণ ধরে দাম নির্ধারণ করেছে।
এতে করে এক থেকে দেড় হাজার টন এলপিজি আমদানিকারক কোম্পানিগুলো সংকটে পড়েছে।
শুনানিতে বেসরকারি এলপিজি কোম্পানিগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকোর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মুনতাসির আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের সেলস হেড জাকারিয়া জালাল, ওমেরার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শামসুল হক আহমেদ, পেট্রোম্যাক্সের পরিচালক নাফিস কামাল, টোটাল গ্যাসের মনজুর মোর্শেদ।
তারা বলেন, কমিশন এলপিজির যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে সৌদি সিপির দাম যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে নির্ধারিত হয় সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
কিন্তু দেশের এলপিজি আমদানির পর এটি পরিবহন, বোতলজাতকরণ, মজুতকরণ, পরিচালন ব্যয়গুলো জন্য যে চাজ কমিশন নির্ধারণ করেছে সেটি অনেক কম। এর ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন। বড় কোম্পানিগুলো লোকসান করলেও ছোট কোম্পানিগুলো প্রায় বন্ধের পথে।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা প্রবন্ধে বলা হয়, এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ চার্জের ক্ষেত্রে কমিশন প্রতি কেজি ১১ টাকা ৯৩ টাকা হারে ১২ কেজির জন্য চার্জ মাত্র ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা অযৌক্তিক।
কোনও অপারেটর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রেখে যে কোম্পানির চার্জ সর্বোচ্চ হবে তা সবার জন্য প্রযোজ্য করাটা আবশ্যক। একইভাবে ডিস্ট্রিবিউটরের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি কেজি ২ টাকা হারে ১২ কেজির জন্য ২৪ টাকা এবং খুচরা বিক্রেতার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি কেজি ২ টাকা ২৫ পয়সা হারে ২৭ টাকা।
যা প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে অনেক কম। প্রকৃতপক্ষে এই ব্যয় যথাক্রমে ৫০+৮০= ১৩০± টাকা হওয়া আবশ্যক।
এছাড়া ব্যবসায়ীরা নিট মুনাফা, ঋণের সুদ, বিক্রয় ও প্রশাসনিক ব্যয়, সিলিন্ডারের আয়ুষ্কাল, বিক্রির পরিমাণ নিয়ে কমিশনের দেওয়া চার্জের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন।