নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধু মানবিক নয়, রাজনৈতিকও।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিকাব টক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি কেবল মানবিক সংকট নয়, রাজনৈতিকও। এ সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রাজনৈতিক মতৈক্যে আসতে পারছেন না, যার কারণে এটার রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় অনেকের মূল্যায়ন চলমান আফগানিস্তান ইস্যুতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি যে কোনো বিষয়ে মনোযোগ রাখা কষ্টকর।
দীর্ঘমেয়াদি যে কোনো সমস্যায় অনেক চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পায়। নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হয়, যেমন কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের পেছনে খরচ বাড়ছে; সবদিকে সঠিকভাবে মনোযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।
মিয়া সেপ্পো বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, রোহিঙ্গা ইস্যু যেন কেউ ভুলে না যায় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ তাদের পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ, দাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলব, এটাতে যেন ফোকাস রাখে।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিকাব) সভাপতি পান্থ রহমান ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ভাসানচরে স্থানান্তরিত প্রসঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জানান, ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রমে জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত। দ্রুতই চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যেতে পারে।
রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে রেখে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে দাবি করে মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাংকের শরণার্থী নীতি সমর্থন করে। যদিও বিষয়টি নিয়ে অনেক দেশের নীতির সঙ্গে মতপার্থক্য থাকবে। বিশ্ব ব্যাংক শর্তসাপেক্ষে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তা দেবে এ বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
মিয়ানমার তিনি জানান, জাতিসংঘ মিয়ানমারে বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে। জাতিসংঘ সেখানে কাজ করছে। আসিয়ানও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনা ও অপব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে জাতিসংঘ।