নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না, এমন অভিযোগের অনেকটাই সঠিক। কিন্তু এর জন্য আমরাও দায়ি। জনপ্রতিনিধিদের সঠিকভাবে কাজ করানোর দায়িত্ব আমার’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম-বিএসআরএফ আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমেছে। তবে তার মধ্যেও বর্তমানে ৮০ শতাংশ পৌরসভার বেতন-ভাতা পরিশোধ করা আছে।
পৌরসভাগুলোতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেওয়া হবে। বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। এতে সেবা উন্নত হবে। জবাবদিহিতা বাড়বে, আয় বাড়বে এবং সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তাছাড়া, জেলা পরিষদগুলোতে অডিটর নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে প্রতিষ্ঠান স্বনির্ভর হবে।
তিনি বলেন, জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে আগামীতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে হলে, এমনকি গ্রামেও, অনুমতির বিধান করা হচ্ছে।
জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার আইন পরিবর্তনের কাজ চলছে। জেলা পরিষদের সদস্য কমিয়ে আনার জন্য প্রত্যেক উপজেলা থেকে একজন এবং তিন উপজেলা থেকে একজন মহিলা সদস্য নিয়োগের বিধান রেখে আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে। অক্টোবরেই হয়তো ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) গ্যাজেট চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া, স্থানীয় পরিষদের অধীনে প্রতিটি রাস্তা-ঘাট নির্মাণ কাজের জন্য আলাদা আইডি নাম্বার দেওয়া হবে। এতে কাজের সুষ্ঠু তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে সহজে শনাক্ত করা যাবে। কেউ গাফিলতি করলে সহজে ধরা যাবে। এবং প্রতিটি নির্মাণ কাজের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হবে। সময়ের আগে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে দায়িত্ব নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।