ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি বুধবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম) আফরোজা রহমানের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৩৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, শেরপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, গাজীপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, রংপুর ও দিনাজপুর-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব মো: মাগফুর রহমান ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক রামপুরা, শেরে বাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মেসার্স কাজী স্টোর’, ‘সাইফুল গোসত বিতান’, ‘কেরানীগঞ্জ স্টোর’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘মুসলিম সুইটস’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মজুমদার হোটেল’, ‘জান্নাত ক্যাফে রেস্তোরা’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘ভান্ডারী মাংস বিতান’, ‘ভাই ভাই মাংস বিতান’, ‘আশরাফ মাংস বিতান’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা করে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের অপরাধে ‘বাবরের পান বিতান’, ‘রাসেল স্টোর’ কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা করে ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৪৩,০০০/- (তেতাল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৩টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৬৭,০০০/- (দুই লক্ষ সাতষট্টি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩,০০০/- (তেইশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৪ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫,৭৫০/- (পাঁচ হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল সর্বমোট ৩৭টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৪টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩,৩৩,০০০/- (তিন লক্ষ তেঁত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।