কয়েকমাস ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাতে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে পানের ভালো ফলন হয়েছে। তবুও হাসি নেই চাষিদের মুখে। কারণ, ফলন ভালো হলেও সঠিক দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। ঋণ করে পান পান চাষ করলেও এখন পান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে ৭০ হেক্টর জমিতে এ বছর পান চাষ করেছেন চাষিরা। এ পেশার সঙ্গে সাড়ে ৬০০ পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছে। পাইকারি ও খুচরাসহ ছোট বড় সব মিলিয়ে ৩১টি পানের বাজার রয়েছে।
চাষিরা জানান, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত দামে খৈল, পাটকাঠী ও বাঁশের শলা ক্রয়সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে কম দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে এক হাজার টাকা এক পাই (২৪ চল্লি) মূল্যের পান এখন ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
প্রান্তিক কৃষকরা জানায়, করোনায় পরিবহন সংকটের সুযোগে সিন্ডিকেট করে পাইকাররা পানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। আর পাইকাররা বলছেন- বর্তমানে বাজারে পানের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কম।
পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী জানান, ধার-দেনা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করেছি। শ্রমিমের মজুরি ও উপকরণের দাম বৃদ্ধি যাওয়া খরচ মিটাতে ন্যায্য দাম পাচ্ছি না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পান এজন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘পানের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে। মধ্যসত্ত্বভোগীরা যাতে সুবিধ না নিতে পারে অতি শিকগিরই এব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’