কৃষি উদ্যোক্তাদের দেখভাল ও সহযোগিতায় হবে বিশেষ সেল

দেশে কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, দেশে এখন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে কৃষি উদ্যোক্তারা কে কী ফসল চাষ করবেন, কোন ধরনের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করবেন, তাদের কী সহযোগিতা দরকার- এ সকল বিষয়ে দেখভাল, সহযোগিতা ও যোগাযোগ রক্ষা করবে এই সেল।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল), স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন বিসেফ এবং বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের কৃষি উদ্যোক্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে আনার উপায় খোঁজা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও মানবিক অর্থায়নে সুযোগসুবিধা সম্প্রসারিত করতে ‘ভরসার নতুন জানালা’ শিরোনামে এ সম্মেলনের আয়োজন। দেশের ৩৩টি জেলা থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেন।

সাবেক কৃষিসচিব ও সম্মেলন সমন্বয়ক আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত জামিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাকিম, বিসেফের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর সারা দেশে ২৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষিঋণ বিতরণের খোঁজখবর রাখতে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা সঠিকভাবে ঋণ পাচ্ছেন কিনা, ঋণ পেতে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ও অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কিনা, কোন জেলায় কি পরিমাণ ঋণ বিতরণ হচ্ছে- এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পূজাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে ড. রাজ্জাক বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এটি আমাদের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। এ ধরনের ঘটনা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। ধর্মের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যারা রংপুরের জেলেপল্লীতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা অমানুষ, পশুতুল্য ও বর্বর। এ ধর্মান্ধ বর্বরদের শিকড় সমূলে উৎপাটন করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মানবতায় বিশ্বাস করি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, গারো, চাকমা, হাজং, বাঙালিসহ সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলে আমরা একটা জাতি। এ দেশটি সকল মানুষের, এখানে সকলের সমান অধিকার। আমরা মানুষ, এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।