বরিশালে থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ১শ ১২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৯১ কিলোমিটারে অবস্থান পায়রা বন্দরের।
পাঁচটি ফেরি পার হয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বরিশালে থেকে কুয়াকাটায় যেতে হয়েছে ভ্রমণপিয়াসুদের।
আর কমপক্ষে তিনটি ফেরি পার হতে হয়েছে বরগুনা ও পটুয়াখালীবাসীদের। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ওপর ২০১১ সালে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, ২০১৫ সালে পটুয়াখালীর শিববাড়িয়া নদীর ওপর শেখ রাসেল সেতু, ২০১৬ সালে আন্ধারমানিক নদের ওপর শেখ কামাল সেতু ও সোনাতলা নদীর ওপর শেখ জামাল সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বরগুনা ও পটুয়াখালীবাসী মুক্তি পায় ফেরির বিড়ম্বনা থেকে।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরগুনার আমতলীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার সঙ্গে চাপ বেড়ে যায় পায়রা নদীর লেবুখালি ফেরিঘাটে। মাত্র এই একটি ফেরি পথের ভোগান্তি সৃষ্টি করে আসছিলো হাজারো মানুষের।
আগামী ২৪ অক্টোবর (রোববার) সেই নদীর ওপর সেতুরও উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিভাগের মধ্যে থাকা ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং বরিশাল ও ঝালকাঠি থেকে ফেরিবিহীন সরাসরি সড়কপথে কুয়াকাটা ও পায়রাবন্দরের যোগাযোগ স্থাপন হবে।
এতে করে ১শ ১২ কিলোমিটার সড়ক পথে আধা ঘণ্টার বেশি সময় বেঁচে যাবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে যাত্রাও নিরাপদ হবে বলে দাবি তাদের।
এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। বরিশাল থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় যেতে আগে পাঁচ পাঁচটি ফেরি ছিলো। এই পাঁচ নম্বর ব্রিজটি নির্মাণ হলো, যা আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ ব্রিজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বরিশাল থেকে পায়রাবন্দর ও কুয়াকাটায় পৌঁছাতে আর কোনো ফেরি থাকছে না। পায়রাবন্দরে যে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এখানে অনেক বিদেশি জাহাজ আসবে। আমরা মনে করি, বিভাগীয় শহর বরিশালে অনেক অফিস হবে। এখানে অনেক ব্যবসার প্রসার ঘটবে। তাই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এ উন্নয়নে বরিশাল এবং দক্ষিণাঞ্চলবাসী উপকৃত হবে।