সিলেটে দুটি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা ও একটি সিলগালা করায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারিরা।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে মালিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এর আগে, সিলেট চেম্বারে বৈঠক করে বুধবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পঁচা-বাসি খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকার পরিবেশের দায়ে এদিন দুপুরে নগরের জিন্দাবাজার ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সীলগালা করে দু’জনকে আটক করা হয়। এরপর পাঁচভাই ও পানসী রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় সড়কে যানজট সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ও সিলেট চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহমিন আহমদ। তারা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ থেকে সরিয়ে নেন।
সিলেট চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহমিন আহমদ বলেন, লকডাউনে সিলেটের ব্যবসায়ীরা এমনিতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এর মধ্যে ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা যখন ধুঁকছে, তখন অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের চরম হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সমস্যা থাকলে রেস্টুরেন্টে জরিমানা হতে পারে। তাই বলে সিলগালা কিংবা লোক ধরে নেওয়ার বিধান নেই।
সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শান্ত দেব বলেন, অভিযান বন্ধ, সিলগালাকৃত রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়া ও আটক কর্মচারীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে সিলেটের সকল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলতে থাকবে। এছাড়া বুধবার সকালে রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে।
তিনি জানান, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িত সিলেটের হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।
এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির হলরুমে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব এবং সিলেট রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও সিলেট ক্যাটারার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায়ও বুধবার থেকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।