যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের পর ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই প্রস্তাব করে তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রীবাহী লঞ্চের পরিচালনা ব্যয় ও সদ্য জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ।
বিআইডব্লউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে মাহবুব উদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও আপনার দপ্তরে বহুবার আবেদন করা হলেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আগামী ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি সভা আহ্বান করেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় এবং ওই দিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে জাহাজ পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। সংগত কারণে সারা দেশে লঞ্চ মালিকগণ যাত্রীর ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।
চিঠিতে বলা হয়, তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় সম্পর্কে শুক্রবার বিকেলে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার একপর্যায়ে ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়ে আপনার সাথে মোবাইলে কথা হয়। আপনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবার (৬ নভেম্বর) দ্বি-প্রহরের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্ত প্রদান করার প্রত্যয় মালিকদের জানানো হয়। আপনি একই টেলিফোনে আমাদের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য আমাকে অনুরোধ করেন।
এতে বলা হয়, এমতাবস্থায় যেহেতু জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে স্টিল ও অন্যান্য পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, সেহেতু ব্যবসায় টিকে থাকার লক্ষ্যে বর্তমান ভাড়ার ওপর ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।