বর্তমানে দেশে পেট্রল ও অকটেনের পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে জানিয়ে খনিজ সম্পদ বিভাগ বলেছে, কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত দামে জ্বালানি তেল বিক্রি করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ‘পেট্রল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে এক ব্যাখ্যায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ টনের বেশি। এরপরও প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদানুযায়ী বিপিসির আমদানি পরিকল্পনা বা আমদানিসূচি অনুযায়ী নভেম্বর মাসে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার টন অকটেন এরই মধ্যে আমদানি করা হয়েছে এবং আরেকটি পার্সেলে ২০ হাজার টনের বেশি অকটেন আমদানি করা হচ্ছে।
‘পাশাপাশি, ডিসেম্বরে মাসে ৬৫ হাজার টনের বেশি অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টগুলোতে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে আরও সুসংহত করবে।’
দেশীয় উৎপাদন দিয়ে পেট্রলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে জানিয়ে ব্যাখ্যায় বলা হয়, দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার টন এবং ৩৩ হাজার টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দিয়ে এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
‘প্রান্তিক বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে’ এবং ‘অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে’ এসব বক্তব্য ভিত্তিহীন দাবি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত মূল্যে কোনোক্রমেই কোনো পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।