ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণ এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে বিস্ফোরণে একজন ও গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং উভয় ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং জালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান পৃথক পৃথক শোক বার্তায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন। ’
মন্ত্রণালয় জানায়, নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার আওতাধীন লাল খা এলাকায় পাঁচ তলা ভবনের নিচতলায় শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনা ঘটার পর তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ অফিসের ডিজিএমসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই ভবনের নিচ তলায় একটি সেপটিক ট্যাংক রয়েছে। ভবনের বাইরে তিতাস গ্যাসের রাইজার ও নিচ তলার ফ্লাটে গ্যাসের চুলা রয়েছে। উক্ত গ্যাসের সোর্সসমূহ থেকে গ্যাস জমে কিংবা তৃতীয় কোন সোর্স থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, যা তদন্ত করে নির্ণয় করা যাবে।
গ্যাস লিকেজের জন্যই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পেট্টো বাংলার মহাব্যবস্থাপক (চুক্তি) শাহনেওয়াজ পারভেজের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের ভিতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোর দক্ষিণপাড়ে সাগর নন্দিনী-৩ জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
১০ নভেম্বর সাগর নন্দিনী-৩ নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল বোঝাই করে ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে আসে। জাহাজটি ওই ডিপোতে পেট্রোল খালাস করার পর ডিজেল খালাস করার জন্য সুগন্ধা নদীর দক্ষিণপাড়ে অবস্থান করছিল। সকালে জাহাজের ইঞ্জিন কক্ষের জেনারেটর চালু করতে গিয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়।
পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ডিজেল অক্ষত রয়েছে। তাছাড়া ট্যাংকার জাহাজটি বেসরকারি মাকিলাধীন এবং লোডিং পয়েন্ট থেকে আনলোডিং পর্যন্ত নিরাপদে তেল পরিবহণের দায়িত্ব জাহাজটির বা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের।