ঢাকা, ৫ মার্চ বৃহস্পতিবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৬২ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নেত্রকোণা, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, জামালপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, নড়াইল, ঝিনাইদহ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান, জনাব মাহমুদা আক্তার ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক সাভার, আশুলিয়া, শাহবাগ, নিউমার্কেট ও বনানী এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ‘মামা ভাগিনা হোটেল’, ‘দারুচিনি হোটেল’, ‘শান্ত হোটেল’, ‘গাউসিয়া রেস্টুরেন্ট’, ‘যাদু বাংলা রেস্টুরেন্ট’, ‘আলম রেস্টুরেন্ট’ কে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ‘দি সিঙ্গাপুর জুস কর্ণার’, ‘জিহাদ স্টোর’, ‘গোল্ডেন ফুড’, ‘ক্যাফে ঊষা ফাস্ট ফুড’, ‘নিউ সিটি স্টোর’ কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার), ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ‘এশিয়া হাই ওয়ে রেস্তোরা’ কে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘মাস্টার স্টোর’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৪ মার্চ ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ৭১,০০০/- (একাত্তর হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৫৫টি বাজার তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্যকলাপ, ওজনে কারচুপি, সেবা প্রদানে অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো এবং পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৩৬,০০০/- (চার লক্ষ ছত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা এবং ওজনে কারচুপির অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫১,৫০০/- (একান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৩ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ১২,৮৭৫/- (বারো হাজার আটশত পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল ৪ মার্চ, সর্বমোট ৬২টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা ও ৩টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫,৫৮,৫০০/- (পাঁচ লক্ষ আটান্ন হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।