জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভোক্তাকে কোনো ভ্যাট (মূসক) দিতে হবে না। এক্ষেত্রে ভ্যাট দিতে হবে সেবা প্রদানকারী বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে। এজন্য তাদের কেন্দ্রীয় মূসক নিবন্ধন নিতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যে এসএমএস সেবা আদান-প্রদান করা হয়, সিমকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করায় সেবা প্রদানকারীকে মূসকের পাশাপাশি সম্পূরক শুল্কও প্রদান করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে প্রাপ্য পণ্যের বিপরীতে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় পদ্ধতি ২০২০ বিষয়ক আদেশে এসব নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর-এর আদেশে বলা হয়, ‘মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সরবরাহকারী ১৫ শতাংশ হারে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর পরিশোধ করিবেন। এই সেবা সম্পূর্ণ করিতে সহযোগী সকল অংশীদারগণ যেই সেবা সরবরাহ করিবে তাহার উপর পুনরায় মূসক পরিশোধ করিতে হইবে না।’ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ১১৮ক-এ ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সংখ্যা, প্রযোজ্যতা, কেন্দ্রীয় নিবন্ধন, মূসক নিরূপণ ও পরিশোধ, দাখিলপত্র প্রদান, হিসাব সংরক্ষণ, জরিমানা এবং দণ্ড বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, প্রত্যেক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারীকে অনলাইনে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। অনলাইনে কর চালান ইস্যু করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যু করা এসএমএস বা অনলাইন নোটিফিকেশন করচালান হিসেবে গণ্য হবে। চালানে প্রত্যেক লেনদেনের বিপরীতে লেনদেন নম্বর থাকবে। লেনদেনের সব তথ্য এনবিআর কর্তৃক ইস্যু করা সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। এ সফটওয়্যারে মূসক কর্মকর্তারদের তদারকির জন্য প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।
সেবা সরবরাহকারীকে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংককে ১৫ শতাংশ হারে মূসক পরিশোধ করতে হবে। সহযোগী বা এজেন্টকে সেবা সরবরাহের উপর পুনরায় মূসক দিতে হবে না। সহযোগী বা এজেন্টকে ব্যাংক, ডাকবিভাগ থেকে মূসক পরিশোধের সপক্ষে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। সহযোগী বা এজেন্টকে দাখিলপত্রের সাথে প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করতে হবে। ক্যাশ ইন, আউটের ক্ষেত্রে যে চার্জ বা কমিশনের মধ্যে এ মূসক অর্ন্তভুক্ত থাকবে। ফলে ব্যাংক, ডাকবিভাগ ও মোবাইল অপারেটরকে এ মূসক পরিশোধ করতে হবে না।
আদেশে আরও বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মোবাইলের এসএমএস আদান-প্রদানের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এসএমএস প্রদানে সিমকার্ড ব্যবহার করা হয় বলে সেবাপ্রদানকারীকে সম্পূরক শুল্ক প্রদান করতে হবে। দাখিলপত্র, দলিলাদি ও অন্যান্য রেকর্ড সেবা প্রদানকারীকে পাঁচ বছর সংরক্ষণ করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করা হলে আইনের ৮৫ ধারা অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করা হবে। অপরাধ করলে আইনের পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী দণ্ড প্রদান করা হবে।
(খবর : ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র )