আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনা ভারইসের একটি ভ্যারিয়েন্ট যা ভাবাচ্ছে গবেষক ওচিকিৎসকদের। এতদিন নাম ছিল বি.১.১.৫২৯। কিন্তু এ নামে ভীতিটা ঠিক সেভাবে বোঝানো যাচ্ছিল না। এ জন্যই নতুন করোনাভাইরাসটির নাম বদলে গ্রিক ভাষার পনেরতম অক্ষরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হলো ওমিক্রন। যাকে প্রকাশ করা হয় ইংরেজি ‘ও’ অক্ষর দিয়ে।
ভাইরাসটির আকৃতির সঙ্গে মিল রেখেই এমন নাম। শুধু নামই রাখেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওমিক্রনের নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তিনটি শব্দ-‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ মানে উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট।
করোনাভাইরাসের এর আগের নামগুলো ছিল যথাক্রমে—আলফা, বেটা, গামা ও ডেলটা। আগের প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গেই কোনও না কোনও দেশের নাম জড়িয়ে ছিল। কিন্তু ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে একইসঙ্গে কয়েকটি দেশে। বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, হংকং-এ এটি ছড়িয়ে পড়েছে বেশি। বিবিসির খবর অনুযায়ী ইউরোপে এখন পর্যন্ত শুধু বেলজিয়ামে একজন ওমিক্রন আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ভন কারখোভ জানালেন, ‘ওমিক্রন, বি১.১.৫২৯ কে উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট বলা হচ্ছে কারণ এর ভেতর দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে।’ মারিয়া তার টুইটারে আরও বলেন, ‘এই ভ্যারিয়েন্টে অনেক মিউটেশন দেখা গেছে। কিছু মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) সত্যিই উদ্বেগের।’
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সাউথ আফ্রিকায় যে গতিতে এটি ছড়াচ্ছে তাতে ধরে নেওয়া যায় যে এটি আগেরগুলোর চেয়েও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা বেশি রাখে।
এদিকে করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্টকে মাথায় রেখে বুস্টার ডোজ নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না।
সূত্র: বিবিসি, সিএনবিসি