নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস চালু ইস্যুতে শুরু হওয়া বৈঠকে সড়ক-পরিবহন-মালিক-শ্রমিকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত করে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাফ পাসের বিষয়ে কেনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছি।
শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের বিষয় নিয়ে শনিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে টানা আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে বিআরটিএসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে হাফ পাসের বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয় সবার মধ্যে। বাসে হাফ পাশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে। পরিবহন নেতাদের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠনসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো বিবেচনা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিকভাবে সমাধানে চেষ্টা চলছে। ঢাকার ৮০ শতাংশ বাস মালিক গরিব। হাফ ভাড়া নিলে মালিকদের যে ক্ষতি হবে, তা সরকার কীভাবে পূরণ করবে? সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। সবার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।
ছাত্রদের অনুরোধ জানিয়ে এ পরিবহন নেতা বলেন, হাফ ভাড়ার দাবিতে বাস ভাঙচুর, শ্রমিকদের মারধর অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়।
টাস্কফোর্স কবে গঠন করা হবে এ প্রশ্নে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এটা নতুন প্রস্তাব। টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে। টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা সেভাবে বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন নেতাদের পক্ষ থেকে কনসেশন দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কত ছাত্র, কতজন বাস ব্যবহার করে তার একটা পরিসংখ্যান চেয়েছেন নেতারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই তথ্য দেবে।
টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বলেন, বাসে হাফ ভাড়া বাস্তবায়নে পরিবহন নেতারা আন্তরিক। কিন্তু তাদের যে ক্ষতি হবে তা কীভাবে পূরণ করা হবে, কত ভর্তুকি দেবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও পরিবহনে সম্পৃক্তদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকারকে টাস্কফোর্সের বিষয়ে জানাবে।