ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রামপুরা ব্রিজে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাঈম হাসান ও মাইনুদ্দিন ইসলামের স্মরণে শোক জানাতে কালো ব্যাজ ধারণ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন ও প্রতিবাদী গানের আসর করবে শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি বাস্তবায়নের জন্য একের পর এক কর্মসূচিতে ভিন্নতাও এনেছেন। এর আগে রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে। একই সময় শিক্ষার্থীদের আরেক অংশ শাহবাগে প্রতীকী লাশের কফিন নিয়ে মিছিল করে। কফিন ও ব্যঙ্গচিত্রে সড়কে চলমান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করে। এর আগে, শনিবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছিল শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। মানববন্ধনে নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গচিত্রে সরকার ও বাস মালিকদের যোগসাজশে সড়কে যে অনিয়ম চলছে তা ফুটিয়ে তোলেন। শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গচিত্রে দেখা গেছে, বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা মারা যাচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন, সরকারকে ভক্তি করছেন বাস মালিকেরা আর পুলিশ বলছে কিছু দেখিনি, কিছু শুনিনি, কিছু বুঝিনি। আরেকটি ব্যঙ্গচিত্রে দেখা গেছে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের দড়ি বাস মালিকদের হাতে, আর প্রশাসন ঘুমাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন করছেন।
চিত্রটিতে আরও দেখা যায়, একজন ছাত্রী নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন- আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই। কিন্তু মালিক পক্ষ প্রশাসনের গলায় দড়ি বেঁধে রাখায় প্রশাসন ওই ছাত্রীর দাবির দিকে মনোযোগ না দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। আরেকটি ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যায়, সরকার একটি সিংহাসনে বসে আছে আর সরকারের পায়ের নিচে বাস মালিক পক্ষ। পাশ দিয়ে একজন শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করছেন। কিন্তু একজন পুলিশ সদস্য মালিক ও সরকারের নির্দেশে ওই শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কের নিরাপত্তা, সারাদেশে তাদের জন্য হাফ ভাড়াসহ সবগুলো দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।