ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
প্রবাসী শ্রমিককে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সৌদি আরব যেতে ৭৫ হাজার টাকার বেশি প্লেন ভাড়া দিতে হচ্ছে। একই রুটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একমুখী ভাড়াও ৭৪ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। অথচ আগে এ ভাড়া ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ছিল। বিমানসহ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর এমন অতিরিক্ত ভাড়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। সময়মতো ফিরতে না পেরে চাকরি হারাচ্ছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিমানের টিকিটের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
এসময় সংগঠনের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এ বছরের নভেম্বর মাসেই একমুখী ভাড়া ছিল প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তবে অযৌক্তিক কারণে এয়ারলাইন্সগুলো এ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। আগে দুবাইয়ের ভাড়া ছিল ৪০ হাজার টাকা, বর্তমানে এমিরেটসে দুবাই যেতে ৮৭ হাজার টাকা লাগে। ওমানের মাস্কাটে আগে একমুখী ভাড়া ছিল ৩৫ হাজার টাকা, বর্তমানে সব এয়ারলাইন্স ৭২ হাজার টাকা নিচ্ছে। সৌদির ভাড়া নভেম্বরে ছিল ৪২ হাজার। বর্তমানে ৭৪ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ভাড়া বহন করা ও যথাসময়ে কর্মস্থলে যাওয়া অভিবাসীদের জন্য প্রায় অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ও বিদেশের প্রায় সব এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করেছে এয়ারলাইন্সগুলো, এতে এজেন্সিগুলোর কোনো প্রভাব নেই। বাংলাদেশের রুটে ফ্লাইটের ভাড়া বৃদ্ধি করলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে (ভারত, নেপাল) ভাড়া তুলনামূলক কম। ভাড়া বৃদ্ধির কারণে অনেকে কাজে ফিরতে পারছে না। এমন পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অভিবাসন ব্যয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনছুর আহামেদ কালাম আরও বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পর্যটক, প্রবাসী শ্রমিক ও উমরাহ যাত্রীসহ পাঁচ হাজার জনের যাওয়ার কথা। তবে টিকিটমূল্য বৃদ্ধি ও আসনের সংকট থাকায় প্রতিদিন যাচ্ছে মাত্র তিন হাজার জন।
এ সংকট সমাধানে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে আটাব। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক এয়ারলাইন্সগুলোর অতিরিক্ত স্লটের অনুমোদন প্রক্রিয়া তরান্বিত করা, প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভাড়া ঘোষণা করা, এয়ারলাইন্সগুলোর অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধে রেগুলেটরি বোর্ড গঠন করা। দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।