ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ (রোববার) দুপুরে মহাখালীতে বিসিপিএস মিলনায়তনে দেশে বুস্টার ডোজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনের আতঙ্ক কাজ করছে। বুস্টার ডোজে ওমিক্রন অনেকটাই প্রতিরোধ হয় বলে জানা গেছে। আর এখন যেহেতু সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন মজুদ আছে, সে কারণে আমরা এখন থেকেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জাহিদ মালেক বলেন, আগে যেকোনো ডোজ নেওয়া ব্যক্তিই বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা নিতে পারবেন। এই ডোজ প্রথমে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, কো মর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তি এবং সেই সাথে সকল ফ্রন্ট লাইনারদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এই মুহূর্তে টিকার সংকট নেই। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সে লক্ষ্য পূরণে আমাদের কাজ ঠিকভাবেই চলছে। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের জন্য হিসেব করলে ১২ কোটির কাছাকাছি মানুষকে আসছে বছরের এপ্রিলের মধ্যে টিকার আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই দুই ডোজ মিলে প্রায় ১১ কোটির বেশি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন হাতে টিকা আছে ৪ কোটি ৬৩ লাখের মতো ডোজ। এ মাসে আরও ২ কোটি ডোজ টিকা আসবে। নতুন বছরের শুরুর দিকে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা হাতে চলে আসবে। সুতরাং নতুন বছরের এপ্রিলের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা রাখা যায়।
মন্ত্রী বলেন, টিকার ডোজে দেশের সফলতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। এখন অনেকের আগে বুস্টার ডোজের মাধ্যমে দেশে সুরক্ষা আরও মজবুত করা হচ্ছে। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করতে পারছি এটা আরেকটা বড় অর্জন আমাদের। অনেক দেশের আগেই দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। ডাক্তার, নার্সসহ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে পেরেছি।
সঠিক সময়ে টিকা দেওয়ার ফলে দেশ এখন নিরাপদে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশেরও নিচে এসেছে। এটি এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল একট বিষয়। সবার সহযোগিতায় আমরা কাজটা করে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষকেই তার প্রাপ্য টিকা দেওয়া হবে। কেউই টিকার আওতার বাইরে থাকবে না।
সুরক্ষা অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। একইসঙ্গে স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে সবার আগে বুস্টার ডোজের টিকা নেন দেশে প্রথম টিকা নেওয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্প মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ডা. শায়লা খাতুন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার বুস্টার ডোজ নেন।