ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মহানগরীর বহাদ্দারহাট, হক মার্কেট, চান্দগাঁও আবাসিক, খাজারোড, স্টিলমিল বাজার ও বন্দরটিলা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহার সার্বিক নির্দেশনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৭৯ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমলপানীয়, ওষুধ ও কেক ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যা, সহকারী পরিচালক জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
বহাদ্দারহাট এ পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহে তদারকিকালে বাগদাদ স্টোরকে মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয়ের প্রস্তাব করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় হক মার্কেটের ফার্মেসিগুলো পরিদর্শন করে চান্দগাঁও ফার্মেসিকে বেশি দামে মাস্ক বিক্রয় করায় ১০ হাজার ও শাহ্ আমানত ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও চান্দগাঁও আবাসিকের স্বপ্ন বাজার শপকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার, কেয়ার এন্ড কিউর ফার্মেসিকে বেশি দামে মাস্ক বিক্রয় করায় ৫ হাজার এবং আল্লাহর দান স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিক দামে নিত্য পণ্য বিক্রয় ও মোড়ক বিধি না মেনে পণ্য বিক্রয় করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে খাজা রোড এলাকার জে এস এন্টারপ্রাইজকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রয় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৪ হাজার, শফি স্টোরকে ১০ হাজার এবং ছগীর স্টোরকে মূল্য তালিকা না রাখায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
একই এলাকার স্টিলমিল বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকানসমূহ পরিদর্শন করে জাহাঙ্গীর স্টোরকে মূল্য তালিকা না থাকায় ২ হাজার টাকা ও বন্দরটিলার জেনুইন সুইটসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয়, কেক ইত্যাদি সংরক্ষণ করায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীবৃন্দকে অনৈতিক মুনাফা না করতে, পণ্য ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ, পণ্য বিক্রয়ের রশিদ প্রদান ও নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যা ব্যবসায়ীবৃন্দকে বলেন, বর্তমান বিশেষ অবস্থার সুযোগ নিয়ে কেউ অনৈতিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং উপস্থিত ভোক্তা সাধারণকে তিনি অযথা বেশি পণ্য ক্রয় না করতেও অনুরোধ করেন।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের সার্বিক নিরাপত্তায় এপিবিএন ৯ এর সদস্যবৃন্দ নিয়োজিত ছিলেন।