ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুলের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে ছাড়া আর কোনো শ্রেণিতে বয়স বাধা হবে না- এমন নির্দেশনা দিলেও কোনো কোনো স্কুল তা অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বয়সের জটিলতার কারণে জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা আন্দোলনে নামেন। গতকালও (মঙ্গলবার) তারা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের আন্দোলনের মুখে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণি ছাড়া আর কোনো শ্রেণিতে বয়স কোনো বাধা হবে না।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধনী নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অ্যান্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছর হতে হবে। সে হিসাবে ২য় থেকে ৯ম শ্রেণির ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
মাউশি পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, গত বছর ভর্তির সময় বয়স নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে আদালতের নির্দেশে- তা সংশোধন করা হয়েছিল। এখন স্কুলে ভর্তির বয়সের বিষয়ে সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়স ৬ বছর হতে হবে। আর কোনো শ্রেণিতে ভর্তি হতে বয়স বাধা হবে না।
মাউশি সূত্র বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রথমে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি সংশোধন করে আবার আপলোড করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি ছাড়া আর কোনো শ্রেণিতে বয়সের কারণে কাউকে ভর্তিতে আটকানো যাবে না। এরপরও জামালপুর জিলা স্কুলসহ কোনো কোনো স্কুলে বয়স নিয়ে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা হয়ত সংশোধনী নীতিমালা লক্ষ্য করছেন না।