ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমডি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল মামুন।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব সদরদপ্তরের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাব। উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি আরও বলেন, তারা হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠানোসহ নদীতে সম্ভাব্য নিখোঁজদের তল্লাশিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরি দল। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে তিন বাহিনীর তিন দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।