ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ পরিকল্পনা বা হালনাগাদকরা ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। এটি বৈশ্বিক উষ্ণতাকে প্রাক-শিল্প স্তরের ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করবে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশের আপডেটেড এনডিসি ২০২১ ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এতে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতায় ও উন্নত বিশ্বের সহযোগিতায় মোট ২১.৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রশমন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, এজেন্সি বা সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমেই আমাদের এ এনডিসি বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া এবং সমন্বয় সাধন করবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামোর (ইউএনএফসিসি) আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের জন্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা ২০৩০ সাল নাগাদ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (আই-এনডিসি) পরিকল্পনা পেশ করে। বাংলাদেশ সরকার দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী দলিলগুলো ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করেছে। সম্প্রতি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ এই এনডিসির হালনাগাদ সম্পন্ন করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ, অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান প্রমুখ।