ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশে করোনা রোগীদের মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধ বাজারজাত শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নিরমাট্রেলভির ও রেটিনোভির নামের ওষুধ দুটি বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। ওষুধটির কার্যকারিতা ৮৮ ভাগ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ওষুধটি ভ্যাকসিনের বিকল্প নয়। ভ্যাকসিন নেবেন সুস্থরা। আর ওষুধ সেবন করবেন আক্রান্তরা। একডোজ ওষুধের দাম হবে তিন হাজার টাকা। মোট পাঁচদিন খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম হবে ১৬ হাজার টাকা।
সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভ্যাকসিন দিচ্ছি। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে দেশে সংক্রমণ এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমাদের সর্তক থাকতে হবে।
‘আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো অভার নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এর মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে এসেছে। সাত কোটি ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ ও পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। আমরা এবার জানুয়ারি মাস থেকে নতুন উদ্যোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেশে ১৫ হাজার ওয়ার্ডে ২৮ হাজার বুথে ২০২২ সাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা চার কোটি ভ্যাকসিন দিতে পারবো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এটা করোনা চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশে মাইলফলক।’
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, পৌরমেয়র রমজান আলী, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি নীনা রহমান প্রমুখ।
বার্ষিক সাধারণ সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ও আজীবন সদস্যদের জন্য ২০ ভাগ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়।
এর আগে নভেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ বাজারজাতকরণ শুরু করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ ক্যাপসুল খেতে পারবেন।