ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: কাল থেকেই শুরু হচ্ছে নতুন বছর। আর এই নতুন বছরকে কেন্দ্র করে বিশেষ টিকা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে দুই মাস। এই সময়ে টিকা পাবে তৃণমূলের মানুষ। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দুই মাসে তিন কোটি ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এসব পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেছেন, নতুন বছরে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে ১ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। এটি চলবে টানা দুই মাস। দীর্ঘ এই ক্যাম্পেইনে তিন কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে গ্রাম ও ওয়ার্ডপর্যায়ে। পাশাপাশি স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজ দেওয়া চলমান থাকবে।
ডা. শামসুল হক বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশে ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ রয়েছে। তাদের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যেই টিকা কেন্দ্র তৈরি করা আছে। প্রতিটি ইউনিয়নে নয়টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। এই নয়টি ওয়ার্ডে গড়ে ২৪/২৭টি টিকা কেন্দ্র থাকবে, যাকে আমরা বলি সাবব্লক ভিত্তিক। এর মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ের সবাইকে টিকার আওতায় আনতে চাই।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, দেশের চার হাজার ৬১১টি ইউনিয়নে মোট এক লাখ ১০ হাজারের বেশি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনশ ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে শুধু প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে নতুন বছরের চমক হিসেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।