ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। বাজারটিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ওই সুবিধা অব্যহত রাখা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই জোরদার উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, বাণিজ্য সুবিধা অব্যহত রাখতে আলোচনা হবে সরকারের মধ্যে। তবে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে বেসরকারি খাতে। এজন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে এখনই পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলার একটি রূপরেখা তৈরি করা দরকার।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘এই বিষয়টি হচ্ছে দুই সরকারের সঙ্গে আলোচনা। সেখানে বেসরকারি খাত সম্পৃক্ত হতে পারবে না। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি তারা যেন তাদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করে।’
২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে এবং এরপর উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রুলস অফ অরিজিনের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি এটি একান্তই না পাওয়া যায় তবে এখনই সরকারের সঙ্গে পলিসি ডায়ালগ করা দরকার, কীভাবে ২০২৯ সালের মধ্যে আমরা সক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে পারি।’
বাংলাদেশের নিট ও ডেনিম খাতের কিছুটা সুরক্ষা আছে, কিন্তু ওভেন বা নাইলন পলিয়েস্টারে এখনও সক্ষমতা আসেনি বলে জানান পোশাক খাতের এই ব্যবসায়ী। তিনি মনে করেন, এজন্য সরকারের সঙ্গে পলিসি ডায়লগ করা দরকার। যাতে করে চীন, তাইওয়ান বা জাপানিজ কিংবা অন্য কোনও দেশের বড় কোম্পানিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, ওই সময়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদেরও সক্ষমতা বাড়বে এ ধরনের বড় বিনিয়োগ করার জন্য। একটি তৈরি পোশাক শিল্পে একশ বা দুইশ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। কিন্তু একটি পলিয়েস্টার তৈরির ফ্যাক্টরি করতে ২ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। বেসরকারি খাত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যেমন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য, ইউরোপিয়ান কমিশনের কর্মকর্তা, প্রভাবশালী ক্রেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ অনেকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান।