অনলাইন ডেস্ক: আগামী বাজেটে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এ্যালায়েন্স (আত্মা)। এতে সরকারের অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হবে, যা করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় ব্যয় করা যাবে।
গেল সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও দাম বৃদ্ধি বিষয়ক লিখিত বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছে সংগঠনটি। করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাজেট প্রস্তাব ইমেইল এর মাধ্যমে জমা দেয়া হয়।
করারোপের বিষয়ের প্রস্তাবে বলা হয়,বিদ্যমান ৩৭ ও ৬৩ টাকা এই দুইটি মূল্যস্তরকে একত্রিত করে নিন্মস্তরে নিয়ে আসা এবং নিন্মস্তরে ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ন্যুনতম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
এছাড়া ৯৩ ও ১২৩ টাকা এই দুই মূল্যস্তরকে একত্রিত করে প্রিমিয়াম স্তরে নিয়ে আসা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যুনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিড়ির ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। এই প্রস্তাবে বলা হয়, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬ দশমিক ৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৫ দশমিক ৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া আগামী বাজেটে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে আত্মা। সংগঠনটি প্রতি ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের উপর যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭১ টাকা এবং ৩ দশমিক ৪৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে বলেছে।
আত্মার দাবি, দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের মাঝে এই পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠিকে জর্দা-গুল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী।
এর পাশাপাশি তামাক বিরোধী এই সংগঠনটি সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখার প্রস্তাব করেছে। তারা বলছে,এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৬ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ হবে এবং ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে, যা সরকার করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পারবে।