ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: “মুক্ত কর ভয়, দুরুহ কাজে নিজেরই দিয়ো কঠিন পরিচয়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি’র ব্যক্তিগত তরফ থেকে প্রদত্ত ৩০ হাজার মাস্ক এর মধ্যে আরও ৫০০০ মাস্ক শ্রমজীবী, মেহনতি, নিম্নবিত্ত ও বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
একইসাথে করোনার এই ক্রান্তিকালীন সময়ে মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহার নির্দেশে মহানগরীতে অধিদপ্তরের ৫ টি টিম মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম ও বাজার তদারকিতে অংশগ্রহণ করে।
মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এর পরিচালনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের ৩ টি টিম ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রলায়ের ৩ টি মনিটরিং টিম ১৭ টি বাজার সহ শিশুখাদ্য, সার্জিকেল মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার এর খুচরা প্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপি অভিযান পরিচালনা করে বিক্রয় মূল্যে কারসাজি ও পণ্যের ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, পণ্যের মোড়কে মূল্য না উল্লেখ করা, মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ৭ টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহানগরীর কাওরানবাজার, গুলশান ১ বাজার, গুলশান ২ বাজার, উত্তরা ১৪ নং সেক্টর জহুরা মার্কেট, উত্তরা ৬ নং সেক্টর বাজার, খিলক্ষেত বাজার, বনানী বাজার, মহাখালী বাজার, বাসাবো বাজার, মাদারটেক বাজার, মুগদা বাজার, খিলগাঁও বাজার, শান্তিনগর বাজার, যাত্রাবাড়ী চালের আড়ত, যাত্রাবাড়ী পেঁয়াজের আড়ত ও এজিবি কলোনী কাঁচাবাজারে অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।
উক্ত অভিযানসমূহে নেতৃত্ব প্রদান করেন উপ পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমে তদারকি করেন সহকারী পরিচালক জনাব আবদুল জব্বার মন্ডল, জনাব মাগফুর রাহমান ও জনাব প্রণব কুমার প্রামাণিক
এসময় ভোক্তারা যাতে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে মজুদ না করেন সে বিষয়ে সকলকে অধিদপ্তর থেকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
অধিদপ্তর থেকে আরো জানায়, কোন একক ব্যক্তির নিকট অতিরিক্ত পরিমাণে কোন পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করা হয় এবং জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।