অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে এখন পর্যন্ত বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিকই বলা যায়। কিন্তু সাধারণ ছুটি দীর্ঘায়িত হলে বাজার ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। আর সেক্ষেত্রে কোনও তদারকি কাজে আসবে না।
যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘যেকোনও মূল্যে বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। এ জন্য আমরা কাজ করছি। বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতেও কাজ চলছে।’
তবে সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, এই পরিস্থিতিতে একদিকে পণ্যের সংকট দেখা দেবে, অপরদিকে সংকটের অজুহাতে বাড়বে দাম। তেমনটা হলে নিম্ন আয়ের মানুষের দিন পার করা কঠিন হবে। অবনতি হতে পারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও বলে আশঙ্কা তাদের।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিশুখাদ্যের সরবরাহ কমে গেছে। পরিবহন সংকট, অপরদিকে শ্রমিক সংকট। পরিবহন সমস্যার কারণে রাজধানীর বাজারগুলোয় চাল সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বেড়েছে দাম। সরকারের লোকজন মাঠে নামিয়েও চালের দাম আগের জায়গায় নামানো যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়ানো ছাড়া চালের দাম কমানো সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষ, শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন। এ অবস্থায় যদি নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়, দাম বাড়ে তাহলে এই শ্রেণির মানুষদের দিন পার করাই কঠিন হবে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির জন্য পাইকার বা ক্রেতা পাচ্ছেন না পোল্ট্রি খামারিরা। চাহিদার সঙ্গে দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা।
তাই এখন থেকেই বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার গুরুত্বারোপ করছেন সংশ্লিষ্টরা।