ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
সারাদেশে ইভ্যালির কর্ণধার রাসেল দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ইভ্যালি নিয়ে গ্রাহকের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় গত বছরের অক্টোবরে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে পরিচালনা পর্ষদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না বলে জানাগেছে।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বর্তমানে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ইভ্যালি নিয়ে এখনো কোনো আপডেট নেই। কোনো কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু খোলাসা করতে আরও সময় লাগবে। আমরা খুব অর্থ সংকটে আছি। অডিট ফার্ম যে টাকা চেয়েছে, সেটা আমাদের নেই। আমরা সবকিছু আদালতে উপস্থাপন করবো।
পণ্য কিংবা টাকা ফেরত না দিতে পারার অভিযোগে এসব মামলা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়েনি। এর মধ্যে চার মামলায় জামিনও হয়েছে এই দম্পতির। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই মামলা চলে যায় সিআইডিতে। সেখানেও অগ্রগতি নেই।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে যে মানি লন্ডারিং মামলা হয়েছে তা অনুসন্ধান করছি। হাইকোর্টের নির্দেশে ইভ্যালির নতুন চেয়ারম্যান-এমডি নিয়োগ হয়েছে। তাদের সহায়তা ছাড়া আমরা বেশিদূর এগোতে পারবো না। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে একটি তদন্ত করছি। এর বেশি ইভ্যালি নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।
ইভ্যালির আইনি দলের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার অ্যান্ড সলিসিটর নিঝুম মজুমদার বলেন, আমরা যতদূর জানি মানি লন্ডারিংয়ের ইস্যু সিআইডি পায়নি। সিআইডির কর্মকর্তাদের কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন, ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো প্রমাণ পায়নি তারা। দুদকও তদন্ত থেকে সরে এসেছে।
সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে করা হয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। পর্ষদ গঠনের চার মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত ইভ্যালির অডিট বা নিরীক্ষা হয়নি।
উল্লেখ্য, বছরের ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখনই দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালামের সমন্বয়ে টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। ৯ জুলাই দুদকের অনুসন্ধান টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।