ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। তবে সরকার করোনা প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করায় হাসপাতালগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন। মহামারি কবলিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। সরকারের হাতে এখনো টিকার ৯ কোটি ডোজেরও বেশি মজুত রয়েছে বলে জানাগেছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে এরইমধ্যে সারাদেশে ৩১ কোটি টিকা কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২৫ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। ২৫ জানুয়ারি পর্যান্ত সর্বমোট ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ১৬ হাজার ৬০৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার সময় চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক কিছুর ঘাটতি ছিল। হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ডেডিকেটেড সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের সুব্যবস্থা ছিল না। করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও টিকার স্বল্পতায় এ কর্মসূচিও শ্লথগতিতে চলছিল। ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও করোনা চিকিৎসা নিয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। এছাড়া করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষেরও ভাল ধারণা ছিল না।