ঢাকা, ৬ এপ্রিল সোমবারঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কার্যক্রম), তাহমিনা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে। গতকাল রোববার প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫৮ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, বাগেরহাট, মাগুরা, পটুয়াখালী, ভোলা, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ-এ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কর্মদিবসের শুরুতেই সকাল ৯:১৫ টা থেকে ১০:০০ টা পর্যন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, জনাব রোজিনা সুলতানা, জনাব তাহমিনা বেগম, জনাব মোঃ মাগফুর রহমান ও জনাব ইন্দ্রানী রায় এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও, বনানী, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, হাতিরপুল, নিউমার্কেট, পলাশী, লালবাগ, ইসলামবাগ, বাবুবাজার, মালিবাগ ও রামপুরা এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ৫০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারিককালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে মসুরের ডাল এর মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমূখী এবং বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। এ সময় বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সম্মানিত ক্রেতা/ভোক্তা সাধারণকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়/সংগ্রহ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। একইসাথে সম্মানিত পাইকারি ব্যবসায়ী এবং খুচরা ব্যবসায়ীবৃন্দকেও গ্রহণযোগ্য মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অনুরোধ করা হয়। টিসিবি কর্তৃক পরিচালিত ট্রাক সেল কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়।
বাজার তদারকিকালে পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ‘আল-আমিন ট্রেডার্স’, ‘রায়হান জেনারেল স্টোর’, ‘রফিক মিয়া স্টোর’, ‘শাওন এন্ড ব্রাদার্স’, ‘বেল্লালের গোস্তের দোকান’, ‘সালেহ জেনারেল স্টোর’, ‘আল্লার দান স্টোর’, ‘বাবুল মিয়া মাংসের দোকান’, ‘আব্দুল রশিদ রাইস স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ‘মঞ্জুর হোসেন হলুদ মরিচ মিল’, ‘হোসেন স্টোর’ কে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ‘সোহাগ স্টোর’ কে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ গত ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ২২,৫০০/- (বাইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
গতকাল ৫ এপ্রিল, সর্বমোট ৫৮টি বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২২,৫০০/- (বাইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাবের সদস্যগণ এসব তদারকি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনগণের মাঝে লিফলেট ও প্যাম্পফ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।