ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি ইস্যুতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)- কে আলাদা আলাদা স্মারকলিপি দিয়েছেন গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী দুটি গ্রুপ। তবে নিজেদের প্রয়োজন বিবেচনায় তারা এখন এক কাতারে এসেছেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সবাই মিলে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন।
বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী এম এ আলম বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করব। আমরা আশা করছি, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়ে দ্রুত সাড়া দিবেন।
তিনি বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির পর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চাচ্ছে। আমরা বলেছি, এই গণবিজ্ঞপ্তি দিলেও ৬ হাজার ৭৭৭টি নারী কোটা এবং বাদবাকি নন-এমপিও ও হাওর অঞ্চলের পদ পূরণ হবে না। এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি আমাদের সঙ্গে একটা প্রহসনও বটে।
এম এ আলম বলেন, সারা দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা ই-রিকুইজিশন নিয়ে সবগুলো পদ সমন্বয় করে গণবিজ্ঞপ্তি দিতে বলছি। ই-রিকুইজিশন নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণ হবে। একই সঙ্গে সাধারণ নিবন্ধরকারীদের মুখেও হাসি ফুটবে।
জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। এই অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ২ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আমরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করি ২৩ মে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
মাত্র ৭ দিনের ভাইভা পরীক্ষা বাকি থাকায় আমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনা মহামারির কারণে আমাদের লিখিত ও ভাইভার ফল প্রকাশে অনেক দেরি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেকের বয়সই ৩৫ পার হয়ে গেছে বা কাছাকাছি রয়েছে। আমাদের শিক্ষক হওয়ার লালিত স্বপ্ন আজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা এখন ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুনছি। আমাদের ১৮ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে সারা দেশের শূন্যপদের তথ্য নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।