আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা সংকটের জেরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তীব্র মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷ মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বে মানবজাতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি সংকটের কারণে বিধ্বস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে৷ প্রায় সব দেশই সাধ্যমতো প্রণোদনার মত ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে৷
এমন পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ রাষ্ট্রজোট হিসেবে পারস্পরিক সংহতির ভিত্তিতে গভীর সহযোগিতাই ইইউ-র মৌলিক বৈশিষ্ট্য৷ এ পর্যন্ত একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ইইউ সমষ্টিগতভাবে সমাধানসূত্র খুঁজে এসেছে৷ করোনা সংকটের মুখেও অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে নীতিগতভাবে ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে করোনা মহামারির বিপর্যয় প্রশ্নে৷
‘করোনা বন্ড’-এর বদলে ইউরোপীয় স্তরে সাধারণ সংকট মেটানোর যে সব সুযোগ আছে, সেগুলিরই সদ্ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করছে কেউ ৷ উল্লেখ্য, অতীতেও বিশেষ করে দক্ষিণের দেশগুলির ঋণভারের দায় নিয়ে এমন বিরোধ দেখা গেছে৷ ‘করোনা বন্ড’-এর প্রবক্তারা সেই আশঙ্কা দূর করতে এই তহবিল সাময়িক রাখার ও শুধুমাত্র করোনা সংকট মোকাবিলার জন্য সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন৷
ইউরোগ্রুপের প্রধান মারিও চেন্তেনো জানিয়েছেন, আপাতত প্রায় ৫০ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের এক ‘সেফটি নেট’ তহবিলের বিষয়ে ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে৷ এমন পদক্ষেপের প্রশ্নে তেমন কোনো মতবিরোধ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে৷ ইউরো এলাকার বেলআউট তহবিল কাজে লাগিয়েই সেই ‘সেফটি নেট’-এর ব্যবস্থা করার কথা চলছে৷