ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাহবুব কবীর মিলন সোস্যাল মিডিয়ায় গালাগালি শুনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির পদ ছাড়তে চাচ্ছেন বলে ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
এর আগে ইভ্যালির গাড়ি নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেখে গ্রাহক ও মার্চেন্টরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা ইভ্যালির গাড়ি নিলামে বিক্রয় করার জন্য বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডি পদত্যাগ চেয়ে পোস্ট দেন। ওই পোস্টের কমেন্টে অনেকে চেয়ারম্যান ও এমডিকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করেছে। এ বিষয়টি দেখে রাত্রে স্ট্যাটাস দেন মাহবুব কবীর মিলন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কোম্পানি রান করবে, না দেউলিয়া ঘোষিত হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সুস্পষ্টভাবে সেটাই বলা আছে। কোম্পানি রান করার বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকলে তার চেষ্টা না করে কোন অবস্থাতেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথে বসানোর সিদ্ধান্ত দেবে না ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি কোম্পানির টাকায় এক কাপ চা’ও খাননি, খাবেনও না। বিনা পারিশ্রমিকে নিজের গাড়ি, তেল মবিল পুড়িয়ে অফিস করছেন।
সেখান থেকে বের হবার দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে তাই করে যাবেন।
গালাগালি খুব করে করতে থাকুন, যাতে তার দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে যাবার পথ তরান্বিত হয়। তিনি অনেক কিছুই গুছিয়ে এনেছিলেন।
আল্লাহপাক আপনাদের হেফাজত করুন।
আমি একা এই অফিস ঝাড়ু দিয়েছি। ২০/২৫ দিন শুধুমাত্র একা অফিস করেছি। ২য় কেউ ছিল না। বাসায় গিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেছি গত দুই মাস ধরে। অনেক কিছুই গুছিয়ে এনেছিলাম। আহা! আমাকে করা গালাগালির ভাষাগুলো দেখছি আর চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার আর কোনো অপশন নেই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খোলা নিলামের মাধ্যমে গাড়ি বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দেয় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির বিলাস বহুল রেঞ্জ রোভারসহ সাতটি গাড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের নামে রেজিস্ট্রেশন করা ৭টি চালু গাড়ি রেজিস্ট্রেশন সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস (যে অবস্থায় আছে) ভিত্তিতে খোলা নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।
আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অফিস চলাকালীন উইন্সকোর্ট ইভ্যালি অফিস হতে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা (তন্মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য) পরিশোধ করে নিলাম কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। বিক্রির অর্থ দিয়ে অফিস পরিচালনাসহ যাবতীয় কাজে ব্যয় করা হবে।