অনলাইন ডেস্ক: বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ তাদের সদস্য কারখানাগুলি বন্ধের ঘোষণা দিলেও করোনা ঝুকি নিয়ে দেশের ৬৭টি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা উৎপাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ৩ হাজার ৩৭১টি পোশাক কারখানা ও বস্ত্রকলসহ ৭ হাজার ৬০২টি শিল্পকারখানা রয়েছে। তার মধ্যে বুধবার চালু ছিল ৫০৫টি। তবে মঙ্গলবার উৎপাদনে ছিল ৫৪৬টি শিল্পকারখানা।
উৎপাদনে থাকা ৫০৫টি শিল্পকারখানার মধ্যে ৬৭ টি পোশাক কারখানা ও বস্ত্রকল।এদের মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ৪৩টি ও বিকেএমইএর ৫টি রয়েছে। আর বিটিএমএর সদস্য ১৯টি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাশন স্টেপ, গাজীপুরের জয়নাল নিট কম্পোজিট, ওনাস অ্যাপারেলস, ট্রাউজার ল্যান্ড, তমা নিটওয়্যার, ওরিয়েন্ট এলিউর লিনগেরি, ইসলাম গ্রুপের ইসলাম নিটওয়্যার ও ইসলাম ডিজাইন, হরাইজন ফ্যাশন, কোয়াট্রো ফ্যাশন, হ্যাগ, রোমো ফ্যাশন, বাংজিন বাংলাদেশ, কোস্ট টু কোস্ট, আইরিশ ডিজাইন, দ্যাটস ইট ফ্যাশন, গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন, অকোটেক্স, আশুলিয়ায় কিউট ড্রেস সহ আরো বেশ কিছু পোশাক কারখানা বুধবার খোলা ছিল।
গত সোমবার বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথ বিবৃতিতে বলা হয় , ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে। তবে যেসব কারখানা সুরক্ষা পোশাক বা পিপিই বানাচ্ছে এবং যাদের জরুরি রপ্তানি ক্রয়াদেশ আছে, কেবল তারাই কারখানা চালাতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সংগঠন, শিল্প পুলিশ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
এদিকে অধিকাংশ পোশাক কারখানা এখনো পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মজুরি পরিশোধের অনুরোধ করেছে কারখানা মালিকদের ।তবে কিছু কারখানা বন্ধের মধ্যেও পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছে।
শিল্প পুলিশের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ময়নসিংহ ও খুলনার ১ হাজার ৮৮২ কারখানার মধ্যে ১৮৬টি বেতন-ভাতা দিয়েছে। আর বিকেএমইএর ১ হাজার ১০১টি কারখানার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে মাত্র ৫৭টি।